বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) -বিসিএস পরীক্ষার বয়সসীমা ৩২ বছর করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ জানিয়েছে এটা সরকারের পলিসির বিষয়।
গতকাল বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) চাকরির আবেদনের বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত বিজিত শিকদারসহ পাঁচ শিক্ষার্থী এ রিট দায়ের করেন।
বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রার্থীর বয়স, যোগ্যতা ও চাকরিতে আবেদনের বিধিমালা সংক্রান্ত ২০১৪ এর ১৪ বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। এছাড়া রিটে সাধারণ বিসিএসে প্রবেশের সুযোগ ৩২ বছর করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
গতকাল রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনের ওপর শুনানি জন্য কার্য তালিকায় রাখা হয়।
ওই রিটে সাধারণ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বা বিসিএসে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর করার দাবি জানানো হয়। পিএসসি চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের এ রিটে বিবাদীও করা হয়।
রিটের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
পরে তিনি জানান, রিটে বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চাকরির আবেদনের বিধিমালা ২০১৪ এর ১৪ বিধিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। এই বিধিতে বলা আছে, যারা সাধারণ বিসিএস ক্যাডারে পরীক্ষা দেবেন তারা ৩০ বছর পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারবেন। অথচ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় ৩২ বছর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ রয়েছে।
ব্যারিস্টার আলতাফ আরও বলেন, জুডিশিয়াল সার্ভিসে ৩২ বছর পর্যন্ত সুযোগ পাচ্ছেন। অথচ সাধারণ বিসিএসে অংশগ্রহণকারী ৩০ বছর পর্যন্ত সুযোগ পাবেন। এটা সাংঘর্ষিক। চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে যেন সবার সমান অধিকার নিশ্চিত হয় রিটে তা চাওয়া হয়।
আর ওই ১৪ উপবিধি অনুসারে শিক্ষা ক্যাডারেও ৩২ বছর পর্যন্ত পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। চাকরিতে প্রবেশে যেন সবার সমান অধিকার নিশ্চিত হয়, রিটে সেটাই দাবি করা হয়েছে বলে আলতাফ হোসেন জানান।
তবে আজ তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিসিএস পরীক্ষার বয়সসীমা ৩২ বছর করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছে হাইকোর্ট।